একরামুল হক চৌধুরীর
পঞ্চাশে পীযূষ দা: স্বপ্ন, সংকল্প ও বন্ধুত্বের উপাখ্যান
অধ্যাপক ড: একরামুল হক চৌধুরী
ভূমিকা: স্মৃতির সরণি ও এক অসামান্য বন্ধু
জীবনের পথচলা বড় বিচিত্র। কখন, কার সঙ্গে, কীভাবে যে মনের তার জুড়ে যায়, তা আগে থেকে বলা মুশকিল। চলার পথে কত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, কেউ হয়ে ওঠে ক্ষণিকের সঙ্গী, কেউ বা আজীবনের বন্ধু, আত্মার আত্মীয়। আমার নিজের জীবনও এর ব্যতিক্রম নয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে চাকরির সূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছি, কত মানুষের সান্নিধ্যে এসেছি। আজ যখন নিউটাউনের এই থিতু জীবনে বসে ফেলে আসা দিনগুলোর দিকে তাকাই, তখন অনেক মুখ, অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসে। বিশেষ করে যখন পেহেলগাঁও বা অন্য কোনো জঙ্গি আক্রমণের পর ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ খবরের শিরোনামে উঠে আসে, তখন অবধারিতভাবেই মনে পড়ে যায় বিমান বাহিনীতে কাটানো সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোর কথা। দেশের সুরক্ষায় আমারও যে সামান্য কিছু অবদান আছে, এই ভেবে মনটা গর্বে ভরে ওঠে। আর এই স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটতে গেলেই অবধারিতভাবে যে নামটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তিনি হলেন আমার প্রিয় বন্ধু, আমার অগ্রজপ্রতিম, কবি পীযূষকান্তি বিশ্বাস – আমাদের পীযূষ দা।
আজ যখন “পঞ্চাশে পীযূষ” শিরোনামে তাঁর সম্পর্কে কিছু লেখার সুযোগ এসেছে, তখন প্রথমেই মনে পড়ছে জয়সলমীর এয়ার ফোর্স স্টেশনের কথা। জায়গাটা আমাদের উভয়ের কাছেই অন্য এক আবেগের নাম। পীযূষ দা তখন সেখানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অপারেটর (ADSO) হিসেবে ভারতীয় বায়ুসেনাতে কর্মরত, আর আমি ছিলাম রেডিও সিগন্যাল ইউনিটে। সেই দিনগুলো, সেই মরুভূমির রুক্ষতা, সেই নীল আকাশ – সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সেই জয়সলমীর থেকেই হয়তো আমাদের বন্ধুত্বের বীজ রোপিত হয়েছিল, যা আজ এক মহীরুহে পরিণত।
পরিচয় পর্ব ও বন্ধুত্বের গভীরতা:
পীযূষ দা’র সঙ্গে আমার প্রথম চাক্ষুষ পরিচয় জয়সলমীরে হলেও, তাঁর সাহিত্যিক পরিচিতি বা তাঁর কাজের পরিধি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছিলাম আরও কিছুদিন পরে, এক মজার ঘটনার মাধ্যমে। ২০১৯ সালের প্রথম দিককার কথা। আমার নিউ ব্যারাকপুর প্রফুল্লচন্দ্র কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং বর্তমানের বার্সার, যিনি আবার স্বভাবতই কিছুটা বাউন্ডুলে এবং কবিমনস্ক, সেই অধ্যাপক স্বপন কুমার গিরি একদিন আমাকে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলেন, “কিরে, তোকে তো ফেসবুকে আজকাল পীযূষের (পীযূষকান্তি বিশ্বাস) সঙ্গে খুব দেখছি! ব্যাপারটা কী রে?” আমি তো শুনে অবাক! বললাম, “আপনি পীযূষ দা’কে চেনেন নাকি?” উনি বললেন, “কেন চিনবো না? ও তো দিল্লির ‘দেহলিজ’ পত্রিকাটা চালায়। ফেসবুকে ওর লেখা দেখি, পড়িও মাঝে মাঝে।”
অধ্যাপক স্বপন কুমার গিরির মতো একজন মানুষ, যিনি আপাতদৃষ্টিতে আপনভোলা, জাগতিক দায়-দায়িত্বের প্রতি খুব বেশি মাথা ঘামান না, কবিতার প্রতি এক ধরণের উদাসীন ভালোবাসা পোষণ করেন, আবার অন্যদিকে কলেজের ফীস, টাকা-পয়সার মতো গুরুত্বপূর্ণ হিসাবপত্রের দায়িত্ব সামলান – তাঁর মতো একজন মানুষের কাছেও যখন দিল্লির পীযূষকান্তি বিশ্বাসের খবর থাকে, তখন আমি উপলব্ধি করলাম, পীযূষ দা তাঁর কবিতা, তাঁর দিল্লি কেন্দ্রিক সাহিত্য পত্রিকা ‘দেহলিজ’-এর সরব উপস্থিতি ও নিরলস কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে কেবল কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঢাকা, ত্রিপুরা, আসাম, বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিশাল বাঙালি ডায়াস্পোরার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাছে নিশ্চয়ই পৌঁছতে পেরেছে। তাঁর বাংলা কবিতা ও কবিতা কেন্দ্রিক চর্চা, তাঁর লেখালেখি যে একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, সে বিষয়ে আমার আর কোনো সন্দেহ রইল না। বন্ধুর এই সাফল্যে মনটা গর্বে ভরে উঠেছিল।
জয়সলমীরের দিনগুলি ও এক অমোঘ টান:
ফিরে যাই আরও অতীতে, ২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের কথায়। জয়সলমীর এয়ার ফোর্স স্টেশনে আমার পোস্টিং হয়েছে মাস তিনেক হলো। কাজের সূত্রেই একদিন গিয়েছিলাম পীযূষ দা’র কোয়ার্টারে। দেখলাম, বৌদির (পীযূষ দা’র স্ত্রী, বিউটি বিশ্বাস) কোলে তাঁদের ফুটফুটে পুত্র ঋজুস্মিত। কথায় কথায় শুনলাম, পীযূষ দা কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে প্রি-ম্যাচিউর রিলিজের (অকাল অবসর) জন্য আবেদন করেছেন। তখন তাঁর এয়ার ফোর্সের চাকরিতে প্রায় সাড়ে বারো বছর চলছে। আর মাত্র আড়াই বছর চাকরি করলেই তিনি সারা জীবনের জন্য পেনশন পেতেন। কিন্তু তখন তাঁর মনে অন্য এক স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে, অন্য এক আকাঙ্ক্ষা তাঁকে হাতছানি দিচ্ছে। অদ্ভুতভাবে, আমিও বিশেষ কিছু ব্যক্তিগত কারণে আমার আগের পোস্টিংয়ে থাকাকালীন আমার ইউনিটে প্রি-ম্যাচিউর রিলিজের জন্য আবেদন করে রেখেছিলাম।
কাজের ফাঁকে সামান্য গল্পেই তাই আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি, আমাদের মানসিকতার তরঙ্গ কেমন যেন একটা জায়গায় মিলে গিয়েছিল। আমার তখন ভারতীয় বায়ুসেনাতে চাকরি চলছে প্রায় আট বছর। আমরা দুজনেই ছিলাম কিছুটা আপনভোলা, কিছুটা বোহেমিয়ান স্বভাবের। গতানুগতিক জীবনের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা আর অন্য কোনো প্যাশনের টানে, অন্য কোনো স্বপ্নের পিছনে ছুটে চলার এক অমোঘ ইচ্ছা আমাদের দুজনকে অজান্তেই কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। আমাদের জীবনচর্যা, জীবনদর্শন, মানবিক বোধ – এই সবকিছুর মধ্যেই কোথায় যেন একটা গভীর মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। সেই সময় থেকেই, অজান্তেই কখন যেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস আমার মনন চেতনায়, আমার পারিবারিক বোধের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছিল।
নতুন দিগন্তের পথে: কলকাতা ও দিল্লি
২০০৫ সালেই পীযূষ দা এয়ার ফোর্স থেকে রিলিজ পেলেন। তার কিছুদিন পরেই, সেপ্টেম্বরে, আমিও রিলিজ পেলাম। যাওয়ার আগে একে অপরের মোবাইল কন্টাক্ট ইনফরমেশন নেওয়া থাকলো। শুরু হলো জীবনের নতুন অধ্যায়। আমি এলাম কলকাতায়, আর পীযূষ দা গেলেন দিল্লিতে। পথ আলাদা হলেও, মনের টানটা কিন্তু অটুট রইল।
এয়ার ফোর্সে চাকরি করতে করতেই পীযূষ দা ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতকোত্তর (এমসিএ) ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তিই তাঁকে দিল্লির মতো প্রতিযোগিতামূলক শহরে সফটওয়্যার সেক্টরে নিজের জায়গা করে নিতে সাহায্য করেছিল।
আমাদের দুজনের মনেই এয়ার ফোর্স একটা গভীর মন্ত্র গেঁথে দিয়েছিল, একটা স্বপ্ন, একটা সংকল্প – "SKY IS THE LIMIT. And Yes! You Can Touch It. You Can Achieve Your Dreams." এই বিশ্বাসটাই হয়তো আমাদের দুজনকে প্রথাগত জীবনের নিশ্চিন্ততা ছেড়ে নতুন পথে পাড়ি জমাতে সাহস জুগিয়েছিল। সাড়ে বারো বছর এয়ার ফোর্সের কঠোর অনুশাসনের পর গত প্রায় বিশ বছর ধরে পীযূষ দা নয়ডা-গুরগাঁওয়ের কর্পোরেট জগতে DELL আর IBM-এর মতো বিশ্বখ্যাত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে এক দীর্ঘ এবং সফল পথ অতিক্রম করেছেন। অন্যদিকে, দিল্লিতে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে মহাবীর এনক্লেভের বাঙালি পাড়ায়।
সাহিত্যপ্রীতি ও বাউন্ডুলেপনা: এক অন্য পীযূষ দা
কর্পোরেট জগতের ব্যস্ততা, ডেডলাইনের চাপ – এই সবকিছু সামলেও পীযূষ দা কিন্তু তাঁর প্রথম ভালোবাসাকে ভোলেননি – তাঁর সাহিত্যচর্চা, তাঁর কবিতা। দিল্লির মহাবীর এনক্লেভের কালী মন্দিরের পাশের ফ্ল্যাটে বসেই তিনি তাঁর সাহিত্য পত্রিকা ‘দেহলিজ’-এর দর্পণে চোখ রাখেন, দৈনন্দিন জীবনের টক্সিক গারবেজ থেকে নিজেকে মুক্ত করে ডুব দেন কবিতার নির্মল জগতে।
তাঁর সাহিত্যপ্রীতি কেবল লেখালেখি বা সম্পাদনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বইয়ের প্রতি তাঁর টান অমোঘ। প্রতি বছর কলকাতা বইমেলায় আসাটা তাঁর কাছে একটা রুটিনের মতো, একটা তীর্থযাত্রার মতো। বইমেলার সেই দশটা দিন তিনি যেন অন্য মানুষ। কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে, সারা দেশ থেকে বা এমনকি বিদেশ থেকেও উড়ে আসা তাঁরই মতো আরও অনেক বাউন্ডুলে কবি-লেখক-সাহিত্যপ্রেমীদের সঙ্গে তাঁর আড্ডা জমে ওঠে। কখনও হোটেলে, কখনও কফি হাউসে, কখনও বা গঙ্গার ধারে – চলে অন্তহীন বাউন্ডুলে চর্চা। আমার বাড়িতেও তিনি দু-একদিনের জন্য এসে থাকেন। তখন আমাদের আড্ডার বিষয়বস্তু ঘুরেফিরে সেই একই – এয়ার ফোর্স, এয়ার ডিফেন্সের স্মৃতি, সফটওয়্যার জগতের ভালো-মন্দ, আর অবশ্যই তাঁর প্রিয়তমা কবিতা। সুনীল-শক্তি থেকে শুরু করে হাংরি আন্দোলন, আধুনিক বাংলা কবিতার নানা দিক, মানুষের যৌথ জীবনচর্যার উত্থান-পতন – এই সবকিছু নিয়েই আমাদের আলোচনার কাপে টলোমলো হয়ে ওঠে নস্টালজিয়া আর আবেগ। এভাবেই তো জীবনের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে বেশ সাবলীলভাবে হেঁটে চলেছেন আমার প্রিয় পীযূষ দা।
তাঁর এই পথচলা কিন্তু সহজ ছিল না। নদীয়ার সেই প্রত্যন্ত গ্রাম বহিরগাছি থেকে যে স্বপ্ন-পাগলের উড়ান শুরু হয়েছিল, সেই বোহেমিয়ান, গরুচরানো মাঠ-ঘাট-নদী পেরিয়ে আসা স্বপ্নালু মানুষটা গ্রাম, শহর, কলকাতা, দিল্লি হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্পোরেট জগৎ পর্যন্ত পৌঁছেছে, আবার ফিরে এসেছে দিল্লির বুকে, তার কবিতার কাছে। এই দীর্ঘ পরিক্রমায় সে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছে, অনেক লড়াই করেছে, কিন্তু হার মানেনি। আজ সে পাক্কা পঞ্চাশ! এই পঞ্চাশ বছর শুধু বয়সের একটা সংখ্যা নয়, এ হলো অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা আর সৃষ্টিশীলতার এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার।
প্রযুক্তি ও কবিতার মেলবন্ধন: এক বিরল প্রতিভা
পীযূষ দা’র ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো প্রযুক্তি ও কবিতার এই আশ্চর্য মেলবন্ধন। তিনি একদিকে যেমন একজন সফল সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট, তেমনই অন্যদিকে একজন সংবেদনশীল কবি ও দক্ষ সম্পাদক। এই দুটো আপাত-বিপরীতমুখী জগৎকে তিনি যেভাবে অনায়াসে ধারণ করেছেন, তা সত্যিই বিরল। তাঁর প্রযুক্তিগত জ্ঞান কেবল তাঁর পেশাগত জীবনেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি সেই জ্ঞানকে অত্যন্ত সফলভাবে কাজে লাগিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের প্রসারে। তাঁর সম্পাদিত ওয়েব ম্যাগাজিন ‘দেহলিজ’ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা এবং উন্নত মানের লেখার সমাবেশ – এই সবকিছু মিলিয়ে ‘দেহলিজ’ আজ বাংলা সাহিত্য জগতে একটি স্বতন্ত্র স্থান করে নিয়েছে। তিনি নিজে যেমন ভালো কবিতা লেখেন, তেমনই নতুন প্রতিভাদের তুলে আনার ক্ষেত্রেও তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয়।
তাঁর এই দ্বৈত সত্তা, এই নিরলস কর্মযজ্ঞ আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। তিনি প্রমাণ করেছেন, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় আর স্বপ্ন দেখার সাহস থাকলে যে কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাঁর জীবন যেন এক জীবন্ত উদাহরণ – কীভাবে নিজের প্যাশনকে অনুসরণ করেও পেশাগত জীবনে সফল হওয়া যায়, কীভাবে আপাত-বিপরীতমুখী দুটি জগৎকে একই সুতোয় বাঁধা যায়।
উপসংহার: নিরন্তর যাত্রার শুভকামনা
পঞ্চাশ বছর একটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় পীযূষ দা অনেক কিছু অর্জন করেছেন, অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন, অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তাঁর এই পথচলা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকুক, এই আমার আন্তরিক কামনা।
পীযূষ দা, তুমি এভাবেই চলতে থাকো। তোমার কবিতা, তোমার ‘দেহলিজ’ আরও অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তুমি মানুষের কাছাকাছি থাকো, মানুষের মনের কাছাকাছি থাকো। তোমার সৃষ্টিশীলতা, তোমার উদ্যম, তোমার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করুক।
তোমার জীবনের আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হোক, আরও সাফল্যমণ্ডিত হোক। সুস্থ থেকো, ভালো থেকো, আর এভাবেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সেবা করে যেও। তোমার পঞ্চাশতম জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে রইল অফুরান ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর নিরন্তর শুভকামনা। এই যাত্রা দীর্ঘ হোক, এই যাত্রা সফল হোক।
Tags:
ক্রোড়পত্র