কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জন্মদিনে

কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 
ছেলেটাকে দেখেছিলাম কোনো এক বসন্তের শেষ বিকেলে,
নাম,পরিচয় জানতাম না কিছুই,
সেভাবে আমিও মিশুকে ছিলাম না তখন !


মনে পড়ছে, একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠান ছিল সেদিন !
একটু দ্বিধাগ্রস্ত, লাজুক ছিলাম;
দিল্লির কবিদের মধ্যে স্বীকৃতি পেয়ে একটু আনন্দিতও...


ছেলেটি এসে দাঁড়ালো আমার পাশে
হাতে একটি রাইটিং প্যাড,
অবাক আমি তাকাতেই বললো,'ফোন নম্বর চাই,
একটা পরিবার তৈরি করবো'।
বুঝলাম, স্বীকৃতির পরের ধাপে এগোতে চলেছি...


স্টেজে তখন কবিতার উপস্থাপনা চলছে একের পর এক,
ভালো লাগায় ভরে যাচ্ছে মন !
হঠাৎই সম্বিত ফিরল একটি আওয়াজে,
বয়সে অনেক ছোট সেই ছেলেটি 
তখন তার দৃপ্ত উচ্চারণে পাঠ করছিল স্বরচিত কবিতা,
খানিকটা শক্তি চট্টোপাধ্যায়, তবু স্বতন্ত্র ...
নামটা জানলাম
মুগ্ধ হলাম উচ্চারণে,লেখায়...


তারপরে অনেক দিন-মাস-বছর পেরিয়ে গেছে।
রুক্ষ দিল্লীর রুক্ষতা আর কঠিন লাগেনা এখন,
ভালোবেসেছি দিল্লিকে আগেই
আরো বেশি করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে সেই ছেলেটা,
রুক্ষতাকে কমনীয়তায় পরিবর্তিত করার শিল্পী সে,
দিল্লির কবিতাকে এক স্বতন্ত্র মর্যাদায়
অভিষিক্ত করার রূপকার সেই ছেলে প্রতিবাদী অথচ আন্তরিক !
দিল্লির দরজায় দস্তক দিয়েছে 'দেহলিজ'
এগিয়ে চলেছে সম্মানিত পথে,
পূরণ হোক্ ছেলেটার সব স্বপ্ন !
গনগনে সূর্যের মত জ্বলুক প্রতিভা পঞ্চাশের মাঙ্গলিক ক্ষণে,
পাশে আছি, থাকবো কথা দিলাম সুদৃঢ় উচ্চারণে...