দিলীপ কুমার বসু
এক পৃষ্ঠা ছবি
দিলীপ কুমার বসু
১)
আমি রোদ ,পড়েছি নদীর জলে
মুছে যাব, দেখো কৌতূহলে
একবার অন্যমনে; হেসে যেও চ'লে।
২)
...চিরকাল অতি অবাধ্য
বিনয়ে ফিরিয়ে তোদের পাত্র
হেঁটে চলে যাব,--ছায়াটা মাত্র
দুয়েক নিমেষ দেখা যাবে, পরে গিলবে রাত্র।
৩)
যে এক পৃথিবী দেখে ও রেখে
তারিখে পথ চলেছে বেঁকে
ছুটে যাওয়া কোটি আলোকবর্ষে
তা বুদ্বুদ, তবু শিকড় ধরতে
ঘাসের, এ প্রাণ পারবে মরতে,
বাঁচতে, মিলনের, বিপুল হর্ষে।
ভূমিকা
বহতা রক্তপ্রবাহ .মেঘে ও গাছের মাথায়,
মলিনতাদের বিবাহ, শঙ্খের ধ্বনি বাতায়।
তাদের প্রণয়লীলায় ধূসর মাখানো চাদরও
চাষের জমিতে গড়ায় এ নিঃশ্বাস মরো-মরো।
ভয়াল কামের মিলন বাণিজ্য, রাজনীতির
নতুন কিছু না সেসব, ভয় শুধু তার স্ফীতির,
ভয় করেই, তবু স্বপ্নে যায় না জয়ের ভাবনা,
গোরুহৃদয়ের শান্তি চিবিয়ে যাচ্ছে জাবনা
বুদ্ধি কল্পনার তো। শেষ নেই তার, শেষ না
একলা আলপথে হাঁটা তোমার সাথে, সুদেষ্ণা,
তুমি, যে নেই , শুধু এক হয়ে বানানো পরিচয়।
পাশে না থাকলে, জানো না, বাঁচাই দুর্বহ হয়?
নয়-ছয় এভাবে করা পংক্তিতে সময় কাটে
দেখা যাক যত্ন এই কতদূর রভসে হাঁটে।
অমিত (অমিতাভ গুপ্তকে)
বাংলার কবিতাবাতাসে নিঃশ্বাস জুড়েই সে কতকাল কেটে গেল জানি--
ইতিহাসে- প্রাগিতিহাসে আজকের রাতের চাঁদ, আজ এই দিনের স্বাদ রূপ, হানাহানি
সেলাই করার পর দাগ মুছে দেয়া সেলায়ের, তাই নির্জন মাঠের ধান হয়ে বেঁচে বেঁকে চায়
আমার দিকেও একটু, করুণা অপরিসীম চোখে বিশ্বে, কান্না নিয়ে, ধানক্ষেতে ভরেছে ঠাট্টায়।
বুদ্বুদ চাঁদের কোলে
একটি মানুষ দিলে,
চেনা যায় না তাকে
ঘেরা ব্যস্ত সব হাঁকডাকে।
Tags:
সিরিজ কবিতা