রশীদ হারুণ
রশীদ হারুণ-এর কবিতাগুচ্ছ
রশীদ হারুণ
ধান গবেষক
ধান-মঞ্জরির দোল। তোমাকে শেখাচ্ছে ধানভাষা, কৃষিবিদ!
ধরো, এই ধৃ ধাতুর মাঠ। দু'পায়ের কৃষি-স্যার তুমি
পরখ করছো ধানশাস্ত্র; পুষ্টতার নোয়ানো ঔষধি
আতশী কাঁচের তলে— কথা, পরষ্পর;
এই ভাষা, ধান— গোপনতা, নিঃশব্দের এক শিল্পতরু!
যদি সেট হয় ঠিকঠাক, দেখতে সঠিক হয়, তবে,
আহত চশমা আর অভাবী চোখেও সুখী হওয়া যায়।
এবং তোমার ধান গবেষক জ্ঞান—
লিখে যাচ্ছে কৃষিকলা— ধানের বিবৃতিময় শব্দ!
দেখো, ধৃ ও ধানঠোঁট, ধ্যান— ভাষাহীন সৃষ্টির গূঢ়তা।
তুমি কি বাজার থেকে চাল কিনে খাও, কৃষিবিদ!
ধরো, এই ধৃ ধাতুর মাঠ। দু'পায়ের কৃষি-স্যার তুমি
পরখ করছো ধানশাস্ত্র; পুষ্টতার নোয়ানো ঔষধি
আতশী কাঁচের তলে— কথা, পরষ্পর;
এই ভাষা, ধান— গোপনতা, নিঃশব্দের এক শিল্পতরু!
যদি সেট হয় ঠিকঠাক, দেখতে সঠিক হয়, তবে,
আহত চশমা আর অভাবী চোখেও সুখী হওয়া যায়।
এবং তোমার ধান গবেষক জ্ঞান—
লিখে যাচ্ছে কৃষিকলা— ধানের বিবৃতিময় শব্দ!
দেখো, ধৃ ও ধানঠোঁট, ধ্যান— ভাষাহীন সৃষ্টির গূঢ়তা।
তুমি কি বাজার থেকে চাল কিনে খাও, কৃষিবিদ!
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট টাওয়ার
টাওয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ। তাকভর্তি হাহাকার।
তড়িৎ প্রবাহ— একগুচ্ছ ডায়নোসরের জিভ
খেয়ে নিলো হরিণ-টাওয়ার। এবং হঠাৎ,
ধুম করে ফেটে যাচ্ছে তামার ধমনি। আর,
দাঁত খিঁচে ঝরে যায় বিদ্যুতের স্রাব।
হাইব্রিড অন্ধকারে আত্মায় লুকানো ধুকপুক!
প্রচণ্ড খাদের মধ্যে তমস আর্শির দুরূহতা,
চোখের বাহিরে আরও চোখ
দেখে যাচ্ছে অন্ধময় নিঃসাড়তার ক্রলিং।
ঢোক-গেলা সিনড্রোম অথবা একটা আগুন পিলার
কতক্ষণ টিকে থাকে?
বড়োজোর একড্রপ— ড্রপের বুদ্বুদ
শোনে কি অভ্যন্তরের বজ্রপাত!
সর্বব্যাপী গলা ছিঁড়ে বেজে ওঠে রাত তিনটার মোরগের ডাক! আর আমি, উড়ন্ত বিষাদ!
সৌন্দর্য কখনও-কখনও দুঃখের গীত এবং তোমার না-থাকাটাও তোমার দেহভবের আগমন। বিড়াল ঘুমিয়ে। আর ঘুম, চিরায়ত এক কোডবক্স; আমি স্ক্যান করি ভারাক্রান্ত পার্থিবতা— হাওয়ার নীলাভ মায়া। এবং এখন, চাঁদ থেকে উড়ছে আমার হাড়ের ফসফরাস— অপার্থিব বিষণ্ণতার স্ফুরণ। দূর বলে শুধু প্রত্যাশার দূরত্বই থাকে! বিষাদের গ্লাস তবে ভরছে কোথায়! ঝিঁঝি পোকাদের ডাক ডুবে যাচ্ছে রাত্রির ঘিলুতে। ভেতরে, হাজার জলটর্চে কাকে খুঁজি! আমার মাথার মগজে-মগজে ছড়িয়ে পড়ছে রক্তমাংশের কুঁড়েঘর!
দেহের অধিক কিছু নেই। এইখানে তোলো অস্তিত্বের স্কুল— দেহ-বোর্ড। লেখো, চিরন্তন সারবস্তু— সময়, আমাকে পড়ে যাচ্ছে বাদামী আইভ্রূ মেখে। আমি কি সময়ে আত্তীকৃত! শ্বাশত আলোয় আমাকে ঢুকিয়ে দাও। সকল বিস্ময় ক্রিয়াশীলতা আমাতে ধৌত হোক। এই দেহ, মায়ার মাদক— তেল, বিটুমিন আর রেজিনের গোপন আরক! ছাপ রাখো— আমিই এখানে উচ্চবংশ— বেঁচে আছি। আর দ্যাখো, চিহ্নরা সাইন্টিফিক— বস্তুবাদ, ভাববাদ আর দূরলিপ্ত অঙ্কশাস্ত্রের চলক। আর্টিকেলগুলি পড়ো, সংগোপনে কথা বলো— লাইব্রেরির শরীরে কথা বলো। দ্যাখো, ইহলৌকিকতার সদর্থকতা— দেহের গোপন নার্সিসাসের কৌশল। ক্রিয়া করো— সময়ের বেলুনের মতো। আমিই গণকযন্ত্র, ক্যালেন্ডারের ক্যালরি আর দূর-ধরা সঙ্কেতের সক্রিয়তা; কালখণ্ডের ওপর বিছানো প্রলুব্ধময় প্রাণের প্রযুক্তি। ঘূর্ণনধ্বনি আমাতে নিস্তার হয়েছে অথবা আমিই নিস্তার নিয়েছি আমার ভেতর এবং অবিনশ্বর পাঠ ও সমস্ত ইহলৌকিকতা আমার পারলৌকিক ওয়ারড্রোবে ঢুকিয়ে দাও। আর তারাদের ম্যাগনিফায়িং চোখের নীচে আমার গম্বুজ তুলে ধরো জ্যামিতিক ধ্যানে...
নিঃশব্দ ঘুঙুর চলে যাচ্ছে তোমার কনিষ্ঠ লাউমাচার তলায়!
আর, চলে যাওয়ার দৃষ্টান্ত মনে রাখি—
বাতাস, হিরন্ময়তা নিয়ে কখনও ফেরেনি।
লু হাওয়ার প্যাডেল ফিরেছে চোখে।
বুকের ভেতর কথা খেলছে দর্শনশাস্ত্রের শ্বাস।
জলে, গলাঅব্দি ডুবে আছে হিজলের গাছ!
মাথায় দুলছে অসংখ্য সবুজ হ্যারিকেন!
তড়িৎ প্রবাহ— একগুচ্ছ ডায়নোসরের জিভ
খেয়ে নিলো হরিণ-টাওয়ার। এবং হঠাৎ,
ধুম করে ফেটে যাচ্ছে তামার ধমনি। আর,
দাঁত খিঁচে ঝরে যায় বিদ্যুতের স্রাব।
হাইব্রিড অন্ধকারে আত্মায় লুকানো ধুকপুক!
প্রচণ্ড খাদের মধ্যে তমস আর্শির দুরূহতা,
চোখের বাহিরে আরও চোখ
দেখে যাচ্ছে অন্ধময় নিঃসাড়তার ক্রলিং।
ঢোক-গেলা সিনড্রোম অথবা একটা আগুন পিলার
কতক্ষণ টিকে থাকে?
বড়োজোর একড্রপ— ড্রপের বুদ্বুদ
শোনে কি অভ্যন্তরের বজ্রপাত!
চাঁদের হাড় ও কুঁড়েঘর
হাড় খুলে চাঁদে ছুঁড়ে দিয়েছি। ভুলেই গেছি, চাঁদ আমার হাড়ের ক্রিয়াপদ। এ-মুহূর্তে, দলামাংসের ভেতর তোমার বিশাল নির্বাক কুঁজ তৈরি হচ্ছে। বারান্দাকে টেনে তুলছে জোৎস্নার রশি। বিহ্বল বরই গাছ ঝুপ খুলে দুলছে সংবেদনে। এখন তোমাকে না-মানুষ স্মৃতির চোখের জল ভাবি। ভাবি, কবিতার ব্যথাবোধে নিঃশব্দ আয়ুর্বেদ। নিজের চোখের'পর বসা রেশমপোকাদের পূর্ণতা দেখি। দেখি, রহস্যের হাতগুলি জোৎস্নার চিবুক ধরে তুলে যাচ্ছে রাত্রির রসুন। আর কোয়াগুলি নিটোল ব্রা খুলে দেখাচ্ছে গহীন বুক— মন-মশলার ঝাঁজ।সর্বব্যাপী গলা ছিঁড়ে বেজে ওঠে রাত তিনটার মোরগের ডাক! আর আমি, উড়ন্ত বিষাদ!
সৌন্দর্য কখনও-কখনও দুঃখের গীত এবং তোমার না-থাকাটাও তোমার দেহভবের আগমন। বিড়াল ঘুমিয়ে। আর ঘুম, চিরায়ত এক কোডবক্স; আমি স্ক্যান করি ভারাক্রান্ত পার্থিবতা— হাওয়ার নীলাভ মায়া। এবং এখন, চাঁদ থেকে উড়ছে আমার হাড়ের ফসফরাস— অপার্থিব বিষণ্ণতার স্ফুরণ। দূর বলে শুধু প্রত্যাশার দূরত্বই থাকে! বিষাদের গ্লাস তবে ভরছে কোথায়! ঝিঁঝি পোকাদের ডাক ডুবে যাচ্ছে রাত্রির ঘিলুতে। ভেতরে, হাজার জলটর্চে কাকে খুঁজি! আমার মাথার মগজে-মগজে ছড়িয়ে পড়ছে রক্তমাংশের কুঁড়েঘর!
মমিফাই
দেহের অধিক কিছু নেই। এইখানে তোলো অস্তিত্বের স্কুল— দেহ-বোর্ড। লেখো, চিরন্তন সারবস্তু— সময়, আমাকে পড়ে যাচ্ছে বাদামী আইভ্রূ মেখে। আমি কি সময়ে আত্তীকৃত! শ্বাশত আলোয় আমাকে ঢুকিয়ে দাও। সকল বিস্ময় ক্রিয়াশীলতা আমাতে ধৌত হোক। এই দেহ, মায়ার মাদক— তেল, বিটুমিন আর রেজিনের গোপন আরক! ছাপ রাখো— আমিই এখানে উচ্চবংশ— বেঁচে আছি। আর দ্যাখো, চিহ্নরা সাইন্টিফিক— বস্তুবাদ, ভাববাদ আর দূরলিপ্ত অঙ্কশাস্ত্রের চলক। আর্টিকেলগুলি পড়ো, সংগোপনে কথা বলো— লাইব্রেরির শরীরে কথা বলো। দ্যাখো, ইহলৌকিকতার সদর্থকতা— দেহের গোপন নার্সিসাসের কৌশল। ক্রিয়া করো— সময়ের বেলুনের মতো। আমিই গণকযন্ত্র, ক্যালেন্ডারের ক্যালরি আর দূর-ধরা সঙ্কেতের সক্রিয়তা; কালখণ্ডের ওপর বিছানো প্রলুব্ধময় প্রাণের প্রযুক্তি। ঘূর্ণনধ্বনি আমাতে নিস্তার হয়েছে অথবা আমিই নিস্তার নিয়েছি আমার ভেতর এবং অবিনশ্বর পাঠ ও সমস্ত ইহলৌকিকতা আমার পারলৌকিক ওয়ারড্রোবে ঢুকিয়ে দাও। আর তারাদের ম্যাগনিফায়িং চোখের নীচে আমার গম্বুজ তুলে ধরো জ্যামিতিক ধ্যানে...জলে, ঘূর্ণায়মান হিজল
জলে, ছোট-ছোট আলোকমহল ঘোরে।নিঃশব্দ ঘুঙুর চলে যাচ্ছে তোমার কনিষ্ঠ লাউমাচার তলায়!
আর, চলে যাওয়ার দৃষ্টান্ত মনে রাখি—
বাতাস, হিরন্ময়তা নিয়ে কখনও ফেরেনি।
লু হাওয়ার প্যাডেল ফিরেছে চোখে।
বুকের ভেতর কথা খেলছে দর্শনশাস্ত্রের শ্বাস।
জলে, গলাঅব্দি ডুবে আছে হিজলের গাছ!
মাথায় দুলছে অসংখ্য সবুজ হ্যারিকেন!
রাত্রির নিঝুমখানা
রাত্রির নিঝুমখানা— একটি নিঃসঙ্গ গ্রাম এঁকে যাচ্ছ। ভূগোলবই চোখের নীচে পড়ে আছে, প্রশ্ন খুলে—
মানচিত্র ধরে পৃথিবীর ওপাশে যে গমখেত রচিত হয়েছে, বিষণ্ণ হাওয়ার নীচে, ভাষার পায়ের দাগ দেখে,
ক্লান্ত কুয়াশার কাঁচে, গভীর ও বেদনা চালিত
দুঃখের কিনারে, এক নদীবর্তী হলো তোমার হৃদয় :
সবাই অন্তর্বোধের পিদিমগুলো জ্বালিয়ে বসে থাকে,
শুধু, কেউ কেউ দেখে সলতে পোড়া দক্ষিণের গ্রাম।
প্রত্ন গহ্বরের বিরচিত কুয়াশাঘরে তোমার আয়না ভিজছে
নিগূঢ়তম পরিব্রাজকে, বহুস্তরে— ঋতু সংযুক্ততায়।
কোথাও একটা গোলঘুম, গাঢ়-শ্বাস, সমর্পণের বোধন,
একাকী নৌকোর দৌড় তোমার ভেতরে জল কাটে!
এবং পথের পথগুলোয় চোখের আর্শি-আকুলতা ধ্যানবিদ,
একটি ভ্রমণলিপি, উড্ডীন সুফির শুভ্র মিথ—
আউলিয়ার আগরে, তীর্থ বর্ণনার জাদু, আর,
বিহ্বলিত অন্বেষণে, গলে যাচ্ছে নম্র-নম্র তৃষ্ণাধারা!
একা হও। গভীরতা জড়ো হোক অন্ধকারের সম্মুখে—
তোমার সীমানা নেই, দ্বৈততার অবসান হবে, কবে, ভাবো!
সমুদ্র এখন স্থিরচিত্রের লবণ জমা করছে গোপনে।
জেলে পল্লী থেকে ছোট-ছোট আলো কমছে ক্রমশঃ
এবং তোমার ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতা জুড়ে
নুনজলের ফেনায় গাঢ় হচ্ছে লবণ বাগান।
অন্তর্যাত্রা ও মানুষ একটি শীতল ভ্রমণের উপাখ্যান!
লবণের বীজ খুলে তোমার ভেতরে রাখো।
এখন, তুমিই একটি লবণগাছ—
একটি সমুদ্র, শান্ত, অন্বেষণের ভেতর ঢেউ তোল—
লবণফলে ভরেছে তোমার আত্মার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ!
এবং সমুদ্র, তুমি, ডুবে আছে সমুদ্রের নুনে।
রাত্রি টবে, চাঁদ ফোটে— নুনজল গিলছে চাঁদের মদ—
এখন, বালির রঙ দৌড়াচ্ছে হলুদ কাঁকড়ার পিঠে চড়ে,
যেন, দুঃখ বিস্তারিত কবিতার গন্ধ তোমায় মিশেছে।
ঢেউগুলি, পৃথিবীর গাছ থেকে চাঁদ তুলে
তোমার ভেতর লবণফুল ফুটিয়ে দিচ্ছে।
এবং প্রকৃত চাঁদ মরে যায় দুই সমুদ্রের লবণ ফাটলে।
মানচিত্র ধরে পৃথিবীর ওপাশে যে গমখেত রচিত হয়েছে, বিষণ্ণ হাওয়ার নীচে, ভাষার পায়ের দাগ দেখে,
ক্লান্ত কুয়াশার কাঁচে, গভীর ও বেদনা চালিত
দুঃখের কিনারে, এক নদীবর্তী হলো তোমার হৃদয় :
সবাই অন্তর্বোধের পিদিমগুলো জ্বালিয়ে বসে থাকে,
শুধু, কেউ কেউ দেখে সলতে পোড়া দক্ষিণের গ্রাম।
প্রত্ন গহ্বরের বিরচিত কুয়াশাঘরে তোমার আয়না ভিজছে
নিগূঢ়তম পরিব্রাজকে, বহুস্তরে— ঋতু সংযুক্ততায়।
কোথাও একটা গোলঘুম, গাঢ়-শ্বাস, সমর্পণের বোধন,
একাকী নৌকোর দৌড় তোমার ভেতরে জল কাটে!
এবং পথের পথগুলোয় চোখের আর্শি-আকুলতা ধ্যানবিদ,
একটি ভ্রমণলিপি, উড্ডীন সুফির শুভ্র মিথ—
আউলিয়ার আগরে, তীর্থ বর্ণনার জাদু, আর,
বিহ্বলিত অন্বেষণে, গলে যাচ্ছে নম্র-নম্র তৃষ্ণাধারা!
একা হও। গভীরতা জড়ো হোক অন্ধকারের সম্মুখে—
তোমার সীমানা নেই, দ্বৈততার অবসান হবে, কবে, ভাবো!
দুই সমুদ্র
গাঙচিল ফিরে যাবার পরেই রাত্রি ফিরেছে সহাস্যে—সমুদ্র এখন স্থিরচিত্রের লবণ জমা করছে গোপনে।
জেলে পল্লী থেকে ছোট-ছোট আলো কমছে ক্রমশঃ
এবং তোমার ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতা জুড়ে
নুনজলের ফেনায় গাঢ় হচ্ছে লবণ বাগান।
অন্তর্যাত্রা ও মানুষ একটি শীতল ভ্রমণের উপাখ্যান!
লবণের বীজ খুলে তোমার ভেতরে রাখো।
এখন, তুমিই একটি লবণগাছ—
একটি সমুদ্র, শান্ত, অন্বেষণের ভেতর ঢেউ তোল—
লবণফলে ভরেছে তোমার আত্মার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ!
এবং সমুদ্র, তুমি, ডুবে আছে সমুদ্রের নুনে।
রাত্রি টবে, চাঁদ ফোটে— নুনজল গিলছে চাঁদের মদ—
এখন, বালির রঙ দৌড়াচ্ছে হলুদ কাঁকড়ার পিঠে চড়ে,
যেন, দুঃখ বিস্তারিত কবিতার গন্ধ তোমায় মিশেছে।
ঢেউগুলি, পৃথিবীর গাছ থেকে চাঁদ তুলে
তোমার ভেতর লবণফুল ফুটিয়ে দিচ্ছে।
এবং প্রকৃত চাঁদ মরে যায় দুই সমুদ্রের লবণ ফাটলে।
Tags:
সিরিজ কবিতা