দেবযানী বসু
দেবযানী বসুর কবিতা
দেবযানী বসু
জোকারিনী তাস আমাদের
আমাদের আস্কে পিঠেরা খাঁটি গুড়সঙ্গবিরহিত। খালপাড়ের লাগোয়া মেলায় বলিউডি সংকীর্তন। নাগরদোলায় সদ্যবিবাহিত বর হরিনাম জপে। এখন যদি কাঁদি সেটাও তো রুদালীদের কান্নার মতো সঠিক হবে না। চৌকাঠ গিটার হলে তাতে মন্দ কী! আমাদের কদমাদিদি, আমাদের মিঠাই ভাই। ছড়াছড়ানিয়া গানে নেচে বেড়াচ্ছে। ছড়াকবিতার গতরে আমকুষি শক্ত হয়ে উঠছে। সারি সারি উনুনের বৌ আগুন মেলেছে। ভুট্টাভুট্টানি পুড়ছে রাজস্থানী দোলনাপুতুলজীবন শেষ করে। কলাবতী পা তাতা থৈ থৈ করে পুকুরে নামছে। নারী স্বাধীনতার স্বাদ নোনতা। খেতে পারো। মাখার জন্য আরো ভালো। জোকারিনী তাসের দেশে নারীরা একটানা জোকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা বসায়। জোকারশিব চালচিত্রে।
কষা সুদের অবদানশতক
তোমরা ট্যারিফ বোলো আমি বলব তারিফ। দেশবিদেশের ট্যারিফ পতঙ্গরা নারদ নারদ খেলে আবোলতাবোলের। শত্রুরা কবিতা ও ইতিহাস জানে বোলে সবকিছু বৈদিক ভাষায় লেখা। একবার ঘর উড়তে শুরু করলে কবে ফিরবে বলা যায় কি? ত্রিপতাকা হয়ে যায় পদাঙ্গুলিও। মানুষ ভাঙানো স্যাকরার দল শেষতক গালাচুড়ি নিয়ে এসেছিল। প্রণামের রাজপথ কুঁকড়ে গিয়ে ফুঁসে উঠছে। তখন আমাদের রক্তবল্লরী। ধ্রুপদী ছুঁতে চাওয়া। আবার পথ মৃত অজগর। জনগণ বেঁচে আছে কিনা দেখতে আলপিন হাতে রানী রাতের বেলায় ঘোরে। খেলতে দিলেই হাওয়া হিংস্র হয়ে ওঠে। এতদিনের খেলাঘরে বৈষ্ণবী সাধ্যসাধনায় ভুল বানান করতলে। আয়ত্তে এসেছে সবার।কোনো কোনো কবির তক্ষকধ্বনি বয়ে নিয়ে চলেছে অক্ষরদল।
টাটকা ও বাসি ভূতের চিমসেপনায়
আমাদের আস্কে পিঠেরা খাঁটি গুড়সঙ্গবিরহিত। খালপাড়ের লাগোয়া মেলায় বলিউডি সংকীর্তন। নাগরদোলায় সদ্যবিবাহিত বর হরিনাম জপে। এখন যদি কাঁদি সেটাও তো রুদালীদের কান্নার মতো সঠিক হবে না। চৌকাঠ গিটার হলে তাতে মন্দ কী! আমাদের কদমাদিদি, আমাদের মিঠাই ভাই। ছড়াছড়ানিয়া গানে নেচে বেড়াচ্ছে। ছড়াকবিতার গতরে আমকুষি শক্ত হয়ে উঠছে। সারি সারি উনুনের বৌ আগুন মেলেছে। ভুট্টাভুট্টানি পুড়ছে রাজস্থানী দোলনাপুতুলজীবন শেষ করে। কলাবতী পা তাতা থৈ থৈ করে পুকুরে নামছে। নারী স্বাধীনতার স্বাদ নোনতা। খেতে পারো। মাখার জন্য আরো ভালো। জোকারিনী তাসের দেশে নারীরা একটানা জোকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা বসায়। জোকারশিব চালচিত্রে।
কষা সুদের অবদানশতক
তোমরা ট্যারিফ বোলো আমি বলব তারিফ। দেশবিদেশের ট্যারিফ পতঙ্গরা নারদ নারদ খেলে আবোলতাবোলের। শত্রুরা কবিতা ও ইতিহাস জানে বোলে সবকিছু বৈদিক ভাষায় লেখা। একবার ঘর উড়তে শুরু করলে কবে ফিরবে বলা যায় কি? ত্রিপতাকা হয়ে যায় পদাঙ্গুলিও। মানুষ ভাঙানো স্যাকরার দল শেষতক গালাচুড়ি নিয়ে এসেছিল। প্রণামের রাজপথ কুঁকড়ে গিয়ে ফুঁসে উঠছে। তখন আমাদের রক্তবল্লরী। ধ্রুপদী ছুঁতে চাওয়া। আবার পথ মৃত অজগর। জনগণ বেঁচে আছে কিনা দেখতে আলপিন হাতে রানী রাতের বেলায় ঘোরে। খেলতে দিলেই হাওয়া হিংস্র হয়ে ওঠে। এতদিনের খেলাঘরে বৈষ্ণবী সাধ্যসাধনায় ভুল বানান করতলে। আয়ত্তে এসেছে সবার।কোনো কোনো কবির তক্ষকধ্বনি বয়ে নিয়ে চলেছে অক্ষরদল।
টাটকা ও বাসি ভূতের চিমসেপনায়
হিত ও অহিত নিয়ে সহিতের কারবার। উঠোনে আল্পনার অআ ধরে বেড়ে উঠছে ঘরে ঘরে স্বর্ণলতা অপরাজিতা। এপারে জালজালিমের রমরমা। যে ধরে ফেলে তার চোখ কানা। ক্লাইমেটপাকানো শরীর আর অপুষ্টিবর্ধনম ওষুধ মিলেমিশে ফিউশন ডান্স বাংলা ডান্স। পুকুরকে হারিয়ে দিয়ে ইঁদারা কুয়োরা কী ভীষণ চুরিতে ব্যস্ত। সম্প্রসারণে ফেটে পড়া ধনে মশলার বীজ আজ হরিতকী। অচেনা কুচি কুচি করে খায় দেশবাসী। সব শহর কাল্পনিক। কোলকাতার গর্ভবতী অবস্থা আরো কতোদিন চলবে কে বলবে। শহরের গর্ভ থেকে আমার একটা পা বেরিয়ে থাকে অশ্লীল। পৃথিবীর কলঙ্ক চাঁদের কলঙ্ককে হারিয়ে জোর ছুটছে। ক্রমশ বিক্রয়যোগ্য হয়ে উঠবে। যৌনতার ধাতবশুভ্র উচ্ছ্বাস নিয়ে দেশটি ডলারবিজয়ী। সেও এয়ারব্যাগ বুকে নিয়ে মরে। ভূতেরা আজকাল শ্রাদ্ধবাসরে বাজি ফাটায়। রাক্ষসীরানী কী জয়! হাসপাতালের কপালে জয়তিলক এঁকে টাটকা ও বাসি ভূতের দেশ ছেড়ে যে গেল সে একাই ছিল পরিচ্ছন্ন এন্টিমোনিয়াম।
Tags:
সিরিজ কবিতা