প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
হ্যালোজেনের হাজিরায় গরহাজির
দিকচক্রবালের সবুজ পর্দা
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
ঘাস আর বঞ্জরভূমির মৌ-স্বাক্ষরের দশমবর্ষপূর্তি উৎসব
নিজস্ব বাগানবাড়ির চারপাশে—সেই উপলক্ষ্যে
দেবদারুর সমান সুউচ্চ গাঁথনি গেঁথে তোলায় ব্যস্ত নাকি ইদানীং
মৃতস্বপ্নের ভুরিভুরি কোয়ারান্টাইন্ড ঢেউঢিবি
শেষমুহূর্তেই প্রায়,
আমার তিরতির বিষন্নতার সঙ্গী হতভাগ্য আলস্যও নাকি
পড়ি-কি-মরি দ্রুতিতে
বাকিবকেয়া সময়ের সদ্ব্যবহারে উপস্থিত
ওইভাবেই নাকি স্তব্ধতার মধ্যেও বাক্স্ফূর্তির নিবিড় প্রগলভতা
শতখণ্ডে ভেঙে-গুঁড়িয়েও
একবুক কান্না যেরকম অঝোর বৃষ্টি হতে পারে
পেতে পারে তোমার মনের মতোন মেঘালি উচ্চতা—চনমনে
হাওয়ার দৌলতে জল ঝরে গেলে
সুতোর নরম শরীর ফিরে পায় আটপৌরে জৌলুস,অমন
থরথর থর-ও ! থুত্থুরে,থতোমতো !
ব্যর্থতার গা থেকে ঝির ঝির ঝরছিল সালঙ্কারা ব্যথা
সবাই খুশি হবে বলেই
মন থেকে নামিয়ে চোখেমুখে
কাট এণ্ড পেস্ট রেখেছি তৃপ্তি, ইস্পাতকঠিন
মানসিকতা নিয়ে যেভাবে জমিতে ঘাঁটি গাড়ে
বহুদূরগামী রেললাইন,সানন্দে
কেবল সরলরেখায়
হামলে পড়ি,নামছে পংক্তি,পংক্তি এবং পংক্তি,
জটিলতার জট খুলে নিই অনুভবের সারল্যে,
রৌশনচৌকি বসাই
মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত জমাটবদ্ধ অর্থময়তার
চূড়ান্ত চূড়াস্টপে
সবাই খুশি হবে বলেই তো
কাণ্ডকারখানা এইসব
জন্মইস্তকই—বক্রী জানতাম,ভীষণই আঁকাবাঁকা চলন—রেখার
জন্যই তাই একব্যাগ সারল্য কিনে রাখলাম
কীরকম বাঁধোবাঁধো ঠেকছিল
সুদীর্ঘ অজ্ঞাতবাসের পর্ব চুকে যেতেই
বৃষ্টি-কনভয় ঢুকে পড়ল আরাবল্লি-কারশেডে
কামরাগুলো শুনশান--যাত্রীশুন্য হরওয়ক্ত,
সদলবলে মিছিলে সামিল যাবতীয় বিশুষ্ক বিন্দু,একে একে—
রণং দেহি উত্তেজনায়,হেলেদুলে
নৈঃশব্দ নেমে পড়ল শোকস্তব্ধ পাথুরে কোলাহলে
জড়তাও একইভাবে ঢেউমুখর হয়ে অস্বীকার করে ফ্যালে
জবুথবু অস্তিত্ব কিংবা
ঢেরঢের দু;খ যেরকম শম্বুকগতিতে নড়েচড়ে বসে
জলবন্দি জীবনের কার্টুন দেখার আগ্রহে
শ্রীমতী পাথুরে বজ্রকন্ঠই জানিয়েছিলেন
শুধুমাত্র একটিবার—
জারি রাখতেই হবে কোকিল-কূজনের রহস্যপাঠ—অতঃপর
বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে শিলান্যাস করি সুবৃহৎ জলসঞ্চয় প্রকল্পটি—আগামী বর্ষার ;
আশ্বস্ত করি সন্দিহানকে
বুকের ভেতরেই পুঞ্জ পুঞ্জ স্মৃতিঢিবির টলটলে ব্যথামেঘ
দূরত্ব কতদূর না জেনেই
নিশানা তাক্ করে দিগন্তে বিলীন হল নায়াগ্রা
নদী তো বটেই, জলপ্রপাতও;
ঝরছে তো ঝরছেই,স্রেফ ঝরে পড়ারই বাহানায় যেন
কিছুটা পথ হেঁটে ,ধরো মাইলখানেক,আচমকা একটা বাঁক
সাদাসিধে সরলরেখায় অভীপ্সিত ছিল যেরকম
খেলনাবাটির সংসারমাত্রেই ,ক্রমে, উপচে ওঠে স্নেহচারা অজস্র
আশা-স্বপ্ন-ভালোবাসা-মোহ-মায়া ইত্যাদি ফলবতী বনস্পতি
এভাবেই সবকিছু
অক্ষরের দুনিয়ায় সময়
অক্ষরের দুনিয়ায় ছবি
অক্ষরের দুনিয়ায় পোস্টার
কিন্তু মৌমিতা,থুড়ি,তিলোত্তমাকে খুঁজলেও পাবে না অক্ষরের দুনিয়ায়
স্মার্ট এবং নধরকান্তি বরং বরফিলা টইটুম্বুর সমসাময়িকতা,অক্ষৌহিনী
গল্প-কবিতা-ফিচার-রম্যরচনা
রাত জাগি,গোঁসা হয়—বিরহ বলি তাকে
বাতাসের মহামিছিলে হাজির সবাই ঃ মলয়-সমীর-পবন-চৈতালি
বর্ডারলাইনে অপেক্ষমাণ ঝঞ্ঝ্যা–টর্ণাডো-ঘূর্ণিবাত;ফলতঃ—
সেভ সামথিং ফর দি ফিউচার সূত্রানুসারে
জমজমাট আঁধার কিনে রাখল আরো খানিকটা অন্ধকার
নিশ্চিদ্র তিমির ইতিমধ্যে
নিস্পন্দ বুকের পাশে শোয়ানো শান্ত রজনীগন্ধা
ওর ঘুম ভাংছেই না ,ও তলিয়ে যাচ্ছে! এম্মা!
ওড়াউড়ির বদলে পায়ে হাঁটা প্রজাপতির ছন্দ-ধন্দ
কিন্তু বেশ সাবলীল,থিতু হয় ,
সম্মত ফুল্লকুসুমে –হাঁটু মুড়ে
আয়না জড়ো করেছে চিহ্নিত প্রতিশব্দের ঢের—
মুকুর-আরশি-দর্পণ আর ক্ষেত্রবিশেষে চোখও
বিশাল-বপু ছত্ত্রিশ পয়েন্টে ‘কান-না’’ লিখে
বিলাপে কান না দেওয়ার জঙ্গি পোস্টার সেঁটে
রেখেছে কান্না !
শ্রীমতী পাথুরে বজ্রকন্ঠই জানিয়েছিলেন
শুধুমাত্র একটিবার—
জারি রাখতেই হবে কোকিল-কূজনের রহস্যপাঠ—অতঃপর
বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে শিলান্যাস করি সুবৃহৎ জলসঞ্চয় প্রকল্পটি—আগামী বর্ষার ;
আশ্বস্ত করি সন্দিহানকে
বুকের ভেতরেই পুঞ্জ পুঞ্জ স্মৃতিঢিবির টলটলে ব্যথামেঘ
দূরত্ব কতদূর না জেনেই
নিশানা তাক্ করে দিগন্তে বিলীন হল নায়াগ্রা
নদী তো বটেই, জলপ্রপাতও;
ঝরছে তো ঝরছেই,স্রেফ ঝরে পড়ারই বাহানায় যেন
কিছুটা পথ হেঁটে ,ধরো মাইলখানেক,আচমকা একটা বাঁক
সাদাসিধে সরলরেখায় অভীপ্সিত ছিল যেরকম
খেলনাবাটির সংসারমাত্রেই ,ক্রমে, উপচে ওঠে স্নেহচারা অজস্র
আশা-স্বপ্ন-ভালোবাসা-মোহ-মায়া ইত্যাদি ফলবতী বনস্পতি
এভাবেই সবকিছু
অক্ষরের দুনিয়ায় সময়
অক্ষরের দুনিয়ায় ছবি
অক্ষরের দুনিয়ায় পোস্টার
কিন্তু মৌমিতা,থুড়ি,তিলোত্তমাকে খুঁজলেও পাবে না অক্ষরের দুনিয়ায়
স্মার্ট এবং নধরকান্তি বরং বরফিলা টইটুম্বুর সমসাময়িকতা,অক্ষৌহিনী
গল্প-কবিতা-ফিচার-রম্যরচনা
রাত জাগি,গোঁসা হয়—বিরহ বলি তাকে
বাতাসের মহামিছিলে হাজির সবাই ঃ মলয়-সমীর-পবন-চৈতালি
বর্ডারলাইনে অপেক্ষমাণ ঝঞ্ঝ্যা–টর্ণাডো-ঘূর্ণিবাত;ফলতঃ—
সেভ সামথিং ফর দি ফিউচার সূত্রানুসারে
জমজমাট আঁধার কিনে রাখল আরো খানিকটা অন্ধকার
নিশ্চিদ্র তিমির ইতিমধ্যে
নিস্পন্দ বুকের পাশে শোয়ানো শান্ত রজনীগন্ধা
ওর ঘুম ভাংছেই না ,ও তলিয়ে যাচ্ছে! এম্মা!
ওড়াউড়ির বদলে পায়ে হাঁটা প্রজাপতির ছন্দ-ধন্দ
কিন্তু বেশ সাবলীল,থিতু হয় ,
সম্মত ফুল্লকুসুমে –হাঁটু মুড়ে
আয়না জড়ো করেছে চিহ্নিত প্রতিশব্দের ঢের—
মুকুর-আরশি-দর্পণ আর ক্ষেত্রবিশেষে চোখও
বিশাল-বপু ছত্ত্রিশ পয়েন্টে ‘কান-না’’ লিখে
বিলাপে কান না দেওয়ার জঙ্গি পোস্টার সেঁটে
রেখেছে কান্না !
Tags:
সিরিজ কবিতা