রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়

রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা

রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় 





Never is too long.
Ever, short?


একটা পূর্ণ যতি আরেকটা প্রশ্নচিহ্ন এই দুয়ের মাঝখানে একটা গোটা সকাল বসে রইলাম।
দূরের খেয়া মনে পড়ল। একটা শাদা পাতায় আঁকিবুঁকি কাটলাম। উঠে পড়লাম। লাউশাক সদ্য
তখন পোস্ত মেখে কড়াই থেকে নেমেছে। মাথার খিদেয় তাইই তখন বেশ খানিকটা পেটের মধ্যে পুরে টের পেলাম যা বদলানোর মানুষই বদলেছে। জীব জগতের অন্যান্য সবাই রূপে রসে গন্ধে বর্ণে প্রায় একই রকম থেকে গেছে। মানুষ থাকে নি। থাকতে পারে নি। চায় নি বলেই পারে নি।
নিজেকে মানুষ হিসেবে ঠিক কীভাবে দেখব এটা ভেবে উঠতেই দুপুর গড়াল। সান্ত্বনা এটাই যে মানুষ ছবি আঁকে। কবিতা লেখে।


As if a sea rolling to nowhere
And nowhere rolling to another
Another nowhere


And a neverland waiting for ever


ঘুমের সিঁড়ি বেয়ে এখন বিকেল। কাচের দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়তে চাইছে। পর্দা আড়াল করে রেখেছে শেষ ফালি রোদ। আলসেমিও মানুষেরই। আমি চোখ মটকাতে মটকাতে নিজেকে মানুষ ভেবে ধন্য হই। উঠি। দ্য কনকয়েস্ট অফ হ্যাপিনেস-র কয়েকটা পাতা ওল্টাই। ফেব্রুয়ারির গরমে দ্বিতীয়বার স্নান করি। কফি খাই। জিন্স আর পাঞ্জাবি চাপিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সরকারি বাসে চাপি। কথা বলি। নিজের সাথে কথা বলতেই থাকি। আসলে নিজের সাথে সব বলা কথাই তো তোমার শোনা। তোমার শান্ত অনুপস্থিতি সাথে নিয়ে ময়দানের পাশ দিয়ে বাস ছুটে যায়। অপেক্ষা করি। একটা ইয়া ব্বড় চাঁদ উঠবে।
আর মনে মনে আমার পরের ইংরেজি কাব্যগ্রন্থের নাম ঠিক করে ফেলি।


A mirror of a moon.