রুচিস্মিতা ঘোষ

প্রবাসী 

রুচিস্মিতা ঘোষ




" আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে -- এই বাংলায় ... "

বাংলার মূলভূমি পশ্চিমবঙ্গ কিংবা কলকাতায় ফিরে যাবার ক্ষীণ বাসনা থাকলেও তার সম্ভাবনা কম।

আমার বিশ্বাস প্রবাসে থেকেও সাহিত্যপ্রেমী বাঙালিরা সাহিত্যচর্চা করে থাকেন।

আমার জন্মভূমি রাঁচি। একদা বিহারের অন্তর্গত অধুনা ঝাড়খন্ডের রাজধানী। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সেখানেই আমার বসবাস ছিল। শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র এবং আমার সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রও বটে। কাজেই আমি তো প্রবাসী বাঙালিই। বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে কিছুটা বাধ্য হয়েই হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে বাস করছি চার বছর হলো। মাঝের এগারো বছর আমি ছিলাম বাংলার সাহিত্যপীঠ কিংবা বাংলার মূলভূমি কলকাতাতে।

রাঁচি থাকাকালীন ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল। নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মে ব্যস্ত থেকেও আমার বাবা সমীরণ গুহ কবিতা লিখতেন। তিনি ছিলেন পঞ্চাশের দশকের এক কবি। ১৯৫২ সালে আমার জন্মেরও আগে বাবার একটি কবিতার বই " বিভাবরী " প্রকাশিত হয়েছিল এবং সাড়া ফেলেছিল। বইটি প্রকাশ পেয়েছিল নানা বাধা পেরিয়ে। এই বই প্রকাশে আমার মা'র পূর্ণ সহযোগিতা ছিল। গত শতকের চল্লিশের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা যখন কাটেনি, তখন সেই ভয়াবহ দিনগুলোর স্মৃতি অবলম্বন করেই বাবা এই কাব্যোপন্যাস লিখেছিলেন। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল ' হিনু ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব'। সেই ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতেও বাবার ভূমিকা ছিল লক্ষণীয়। ' প্রবাস মিলন' নামে একটি সাহিত্য সংস্থা ছিল। বাবা সেই সাহিত্য সংস্থার দায়িত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ১৯৫৪ সালে বাবার পরিচালনায় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে রাঁচিতে প্রথম কবি সম্মেলন হয়। প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে নানা জায়গা থেকে রাঁচিতে প্রখ্যাত সাহিত্যিকরা আসতেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনির্মল বসু,কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, শান্তা দেবী, সীতা দেবী প্রমুখ সাহিত্যিকদের সান্নিধ্যলাভে বাবা ধন্য হয়েছিলেন।

আমার জ্ঞান হওয়া অবধি আমি দেখেছি ' হিনু ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবে'র প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাবাকে অংশগ্রহণ করতে। গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য ও ঋতুরঙ্গে বাবা নিজের লেখা ভাষ্যপাঠ করতেন। আমাদের হিনু ক্লাবে প্রায়ই নাটক হতো। অনেক সময় একাঙ্ক নাটক হতো। কলকাতা থেকে বিখ্যাত নাটকের গ্রুপ আসত। নাটক দেখতে খুব ভালবাসতাম। নাটকের প্রসঙ্গে জানাই আমার দাদু ( পিতামহ) মন্মথ গুহ নাটকে অভিনয় করতেন।

এমনই এক প্রবাসী বাঙালি উপনিবেশে আমি বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই নাচের অনুষ্ঠান, নাটক ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি।

সাহিত্যপথে পা রেখেছিলাম সেদিন, যেদিন বাবা আমার জন্য একটি আলাদা পড়ার ঘর ঠিক করে দিলেন। সেই একচিলতে ঘরের জানালা থেকে দেখতে পেতাম একফালি আকাশ, উঠোনের আমগাছ, পেয়ারাগাছ ও হাওয়ায় পাতার কাঁপন। গাছের ডালে বসা পাখিদের কলরব কানে মধু ঢেলে দিতো। দেখতে পেতাম উড়োজাহাজের ওড়াউড়ি, নীড়ে ফেরা পাখিদের ঝাঁক। ঘরটি ছোট হলেও আমার কল্পনারা ডানা মেলে দিয়েছিল অবাধ। সেই ঘরে বসেই যাবতীয় বই পড়া আর লেখালিখির বাসনা।

অনেক সাহিত্যিকদের বলতে শুনেছি সৎ সাহিত্যের অর্থ নিজের আনন্দের জন্য লেখা। যদি এ কথা সত্যি হয়, তবে সেই একচিলতে ঘরে বসেই আমি নিজের আনন্দে লিখেছি তিন- চার বছর। সেইসব রচনাই ছিল আমার সৎ সাহিত্য। খাতার পর খাতা ভরে উঠত গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ায়।

পরবর্তীকালে এই দীর্ঘ সাহিত্য জীবনে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যখন অতিক্রম করছি জীবন, তখন কিশোরীবেলার সেই সময়টুকুই মনে হয় আমার সাহিত্যজীবনের সৎ সাহিত্য রচনা। কারণ তখন কোনো পাঠকের কথা ভেবে লিখিনি, কোনো পত্রিকায় লেখা পাঠানোর তাগিদ ছিল না, ছিল না শব্দের বাঁধন। যদিও সেই ঘরে বসেই ' শুকতারা ' পত্রিকার পাতা ওলটাতে ওলটাতে গল্প প্রতিযোগিতার একটি বিজ্ঞাপন দেখে একটি ছোট গল্প পাঠিয়েছিলাম ' দেবসাহিত্য কুটিরে' র দপ্তরে কাউকে না জানিয়েই। কিন্তু সেই গল্প পাঠানোও ছিল আপন খেয়ালে। ফলের আশা করিনি। দীর্ঘ তিন বছর পরে সেই গল্প প্রতিযোগিতার ফল যখন বেরোলো, তখন বিস্ময় ছিল, আনন্দও ছিল। সেই গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তিই ছিল আমার লেখার প্রথম স্বীকৃতি। কিন্তু ওই যে রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন " যে শোনে এবং যে বলে এই দুজনে মিলে তবে রচনা হয়".... "তটের বুকে লাগে জলের ঢেউ, তবে সে কলতান উঠে / বাতাসে বনসভা শিহরি কাঁপে, তবে সে মর্মর ফুটে।"

তাঁর এই কথাটি মনে গেঁথে গিয়েছিল, তাই সাহিত্য- পথে এগিয়ে গেলাম। যা লিখেছি, শুনেছে কেউ, পড়েছে কেউ এবং এভাবেই ক্রমশ আমার লেখার পাঠক তৈরি হল এবং আমি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলাম।

পড়াশোনার ফাঁকে, কাজের ফাঁকে যখনই সময় পেতাম, লিখে যেতাম। একেবারে একটানা যে লিখে গেছি, তা নয়। কলেজে পড়াশোনার সময় পড়ার এত চাপ ছিল যে লিখতেই পারিনি। তারপর ব্যাঙ্কে চাকরি, কাজের চাপ, চাকরির তিন বছরের মধ্যেই সংসার জীবনে প্রবেশ করা, সন্তানদের বড় করা। এই ব্যস্ত জীবনে লেখার সময় কোথায়!

তবু সেই ব্যস্ত সময়েই রাঁচি থেকে প্রকাশিত হয়েছে আমার চারটি বই। গল্প সংকলন, কবিতা ও ছড়ার বই। রাঁচি থেকে দুটি লিটল ম্যাগাজিন বের হতো সেইসময়। ' মাহুত' ও ' পদক্ষেপ ', জামশেদপুর থেকে ' কালিমাটি'। ধীরে ধীরে আমার নানা লেখা প্রকাশিত হতে থাকল বঙ্গ ও বহির্বঙ্গের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন ও বাণিজ্যিক পত্রিকায়।

২০০১ সালে ব্যাঙ্ক থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে আমি ডানা মেললাম মুক্ত আকাশে। অবসরটুকু ঢেলে দিলাম সাহিত্যচর্চায়। একটি মহিলাদের নিজস্ব সাহিত্য পত্রিকা ' প্রতীতি' সম্পাদনা করেছি টানা দশ বছর। সেইসময় পত্রিকাটি খুব নাম করেছিল। রাঁচির বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং কলকাতারও দৈনিক পত্রিকায় 'প্রতীতি' পত্রিকাটি নিয়ে আমার ও সদস্যাদের সাক্ষাৎকার বেরিয়েছিল। দিল্লির বহির্বঙ্গ উৎসব ও কলকাতার নানা সাহিত্যসভায় অংশগ্রহণ করেছি। সম্পাদনা ও লেখার সূত্রে পরিচয় হয়েছে নানা প্রখ্যাত সাহিত্যিকদের সঙ্গে ।

২০০৯ সালটি বিশেষভাবে আমার সাহিত্যজীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। এইসময় প্রতীতি' পত্রিকা সুনামের উচ্চশিখরে। ২০০৯ সালেই বেশ কয়েকটি সম্মাননা পাই, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে পাওয়া সারস্বত সম্মানটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

২০০৯ সালের শেষের দিকে রাঁচি ছেড়ে আমি কলকাতায় পাকাপাকিভাবে বসবাস করার জন্য চলে আসি নিউটাউনে আমার নিজস্ব ফ্ল্যাটে। কলকাতা, যাকে বলা হয় মূল বাংলাভূমি বা সাহিত্যপীঠ। এখানে এসে প্রকৃত অর্থে সাহিত্যকে উপভোগ করেছি। কলকাতায় এসে আমি একটি লিটারারি সোসাইটি ' অব্যয় লিটারারি সোসাইটি ' তে যোগদান করলাম। এবং সেই সূত্রেই যোগাযোগ হল নানা প্রখ্যাত সব লেখকদের সঙ্গে। কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করলাম টানা দশ বছর। এখান থেকে প্রকাশিত হল আমার আরও কয়েকটি বই। বিভিন্ন সাহিত্যসভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করলাম। এভাবেই সমৃদ্ধ হলাম সাহিত্যচর্চায়। কলকাতায় এসে আমি আর একটি লিটল ম্যাগাজিন ' সর্বনাম' পত্রিকার সম্পাদনার ভার নিলাম। বইপ্রেমীদের বিস্ময়- শহর কলকাতার সঙ্গে পরিচিত হলাম সবদিক দিয়ে।

তারপর ২০২১ সালে একটি ব্যক্তিগত কারণে আমাকে কলকাতা ছেড়ে চলে আসতে হল হরিয়ানায়। আমি আবার প্রবাসী হলাম।


প্রবাস মানব সভ্যতায় কোনো নতুন ব্যাপার নয়। আজকের বিশ্বায়িত পৃথিবীর বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় বা বাধ্যতামূলকভাবে প্রবাসী হওয়া নৈমিত্তিক ঘটনা। পেশাগত কারণে, রাজনৈতিক পরিবর্তনও সহস্র মানুষকে করে দেয় প্রবাসী কিংবা নিজভূমেই পরবাসী।


দেশভাগ বাংলার ভূখণ্ডকে তো কবেই করেছে খন্ডিত। আজ যদি বাংলাদেশ থেকে কোনো বাঙালি পশ্চিমবঙ্গে এসে বাস করে, তাকেও প্রবাসী বলেই ভাবা হয়। এই প্রবাসী বাঙালিদের আখ্যায়িত করার জন্য যদিও 'বহির্বঙ্গ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এতে তাদের প্রবাস জীবনের বাস্তবতার বিশেষ রূপটিই স্বীকৃতি পায়।

রাজনৈতিক কারণে দেশভাগের আগে ও পরে ঐতিহাসিক ভাবে বঙ্গবাসী যে অঞ্চলগুলো আজ আসাম বা ত্রিপুরার অংশ, সেখানকার বাঙালিকে কি প্রবাসী বা বহির্বঙ্গীয় বলা যায়? তবে মিজোরাম, গুয়াহাটি, দিল্লি, হরিয়ানা, এলাহাবাদ, রাঁচি, পাটনা, ধানবাদ, ভাগলপুর ইত্যাদি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালিকে কী বলব? এই যে বাংলার বাইরে বসে আমাদের মতো যাঁরা সাহিত্যচর্চা করছেন, তাঁদের সাহিত্যকে প্রবাসী সাহিত্য বললে সতীনাথ ভাদুড়ি, বনফুল, রাজলক্ষ্মী দেবী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাহিত্যিকদের সাহিত্যকেও তো তাই বলতে হয়। অথচ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের বইগুলো সে কথা বলে না।

কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে প্রবাস জীবনের নানামাত্রিক বাস্তবতা ও তার অভিব্যক্তি নিয়ে নানা গবেষণা চলছে।

আজ হরিয়ানার এক রুক্ষ শহর ফরিদাবাদে যখন বসবাস করছি, তখন এখানকার বাঙালিদের দেখে হতাশ লাগে। এখানকার বাঙালিরা সাহিত্যচর্চা করে না। এখানে একটি কালীবাড়ি আছে, সেখানে বাঙালিরা জমায়েত হয়। দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো সবই হয় কিন্তু বাঙালিরা হরিয়ানার সংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ হরিয়ানার পাশেই দিল্লিতে সি আর পার্ক এক বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। সেখানকার বাঙালিরা বাংলা সাহিত্যচর্চাকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে। খুব ভালো লাগে।

কাজেই শুধুমাত্র বঙ্গভূমিতে বসবাস করলেই যে তিনি বাঙালি হবেন কিংবা বাংলার বাইরে বসবাস করলেই যে তিনি অবাঙালি হয়ে যাবেন তার কোনো মানে নেই। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ইউনেস্কো বাংলাভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশকে বাংলার মূলভূমি বলা হয় কিন্তু এখানে জন্মগ্রহণ করেও বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা বাংলা বর্জন করে অন্য সংস্কৃতি ও ভাষায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।

ভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশে বাঙালি হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম ও সংঘাতের কথা বলছেন প্রবাসী বাঙালিরাই। কাজেই বাংলার মূলভূমি কলকাতায় ফিরে যাবার তীব্র বাসনা ক্রমে কমে আসছে।

প্রবাসী বাঙালি ছিলাম জন্মসূত্রেই। বাংলা সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই হরিয়ানার এই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিহীন মাটিতে বসেই কলম ধরেছি আবার, হাতে তুলে নিয়েছি ল্যাপটপ। এই নেট দুনিয়ার কারিগরির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রয়েছি। শুরু করেছি সর্বনাম অনলাইন পত্রিকা। তাই কোনোমতেই মনে হয় না যে প্রবাসী বাঙালিরা সাহিত্যচর্চার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। সবকিছুরই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ থাকে। পরিবার, সমাজ ও দেশ দ্রুত গতিতে বদলে যাচ্ছে। ভাষা অবিরলভাবে চলমান এবং পরিবর্তনশীল। কাজেই সাহিত্যপ্রেমী বাঙালি পৃথিবীর যে অঞ্চলেই থাকুক না কেন, এই নেট দুনিয়ায় সাহিত্যচর্চা করা এখন আর তেমন কঠিন নয়। প্রবাসে থাকে বলেই এখন কবি ও লেখকেরা নানা ভাষায় সহজেই অনুবাদ করতে পারে এবং এভাবেই বাংলা সাহিত্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। তার জন্য মূল বাংলাভমিতে ফিরে যাবার কোনো প্রয়োজন না- ও থাকতে পারে। আমার প্রিয় বাংলা ভাষা কথায় ও সাহিত্যে আরও উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আলো ছড়িয়ে দিক, এই কামনা রইল।