আসাদ মান্নান
আসাদ মান্নানের কবিতা
আসাদ মান্নান
১)
যেখানে বসন্তে ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের ঘূর্ণিঝড়ে
নীলিমা বিধ্বস্ত হলে ডুকরে কাঁদে চন্দ্রাবতী খুকু,
সুনামির আগ্রাসনে লণ্ডভণ্ড সাজানো সংসার ;
রবীন্দ্র রচনাবলি ধূলোপড়া ভূতুড়ে খোঁয়াড়ে;
ঋতুবতী বালিকার স্বপ্নমালা শূন্যে ঝুলে থাকে,
মানুষে লুকিয়ে হাসে বুনো জন্তু হিংস্র জাগুয়ার ,
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে নির্বিচার বোমার আঘাতে
নিয়ত মানুষ মরে -- নির্বিকার মানব মনীষা
পাথর জড়িয়ে গায়ে মরুদ্বীপে ঘুমিয়ে রয়েছে;
চারিদিকে এ কেমন জীবন বিনাশী বর্বরতা!
লাশের উপরে লাশ পড়ে আছে -- শকুন- শিয়াল
মৃত্যুর উৎসবে এসে লাশ নিয়ে বিবাদে মিলেছে--
বিকলাঙ্গ মানবতা নির্বাসনে গহীন জঙ্গলে
নপুংসক প্রতারক চাটুকার চতুর সুশীল
একই অঙ্গে বহুরূপে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে
জৈবিক নেশার ঘোরে যুদ্ধরত মাতাল বেনিয়া--
এ কেমন গণহত্যা নির্বিচারে ! চোখের পলকে
নিঃশ্বাস নিঃশেষ হয়, দেশে দেশে হায়েনার থাবা
কে পারে থামিয়ে দিতে? কেউ কি আছেন -- কেউ নেই?
আছে আছে, কিন্তু হবেটা কী থাকলে -- ওদের বিবেক
ঘুণপোকা খেয়ে গেছে-- সভ্যতাকে ন্যাংটা করে ওরা
নিজেরা উলঙ্গ হয়ে মাঠে-মঞ্চে অন্ধের মতন
বানরের হাত ধরে নাচে আর বাজায় ডুগডুগি,
আরব্য গাথার রসে উল্টো স্বরে হরেক রকম
আসমানী মাহফিলে কী দারুণ ধ্রুপদী বয়ান!
এ বয়ানে মর্মাহত সমাহিত আলীম-আব্বাস;
ছায়ানটে নট আছে --ছায়া নেই ললিত কলায়;
বাঘের ক্ষুধার কাছে মর্মভেদী হরিণীর ডাক
অরণ্যে রোদন ছাড়া এ মূহুর্তে আর কিছু নয়--
নাগ দেবী মনসার ক্রোধান্বিত অভিশাপ নিয়ে
বেহুলা বাঙালি নারী আনন্দের বাসর ঘরেই
বারবার বৈধব্যের নিদারুণ পোশাক পাল্টায়;
মিথ্যাচারী অমাবস্যা গিলে খায় পূর্ণিমার তিথি
সেখানে কী করে কবি প্রিয় বাংলা নববর্ষ নিয়ে
রবীন্দ্রনাথের মতো কবিতা বা গান না-লিখেই
একা একা পাড়ি দেবে কূলহারা অথই যমুনা!
২)
আমার হবে না লেখা এ বৈশাখে কোনো গান কিংবা
আগুনে তাতানো তাজা একটি কবিতা; তার চেয়ে
বরং এটাই ভালো -- কাউকে না বলেই চুপচাপ
শ্রীকৃষ্ণের মতো ওই মুরলি বাঁশিটা বাজাতে বাজাতে
বঙ্গোপসাগর তীরে শৈশবের চৈত্রের মেলায়
ঘুরতে ঘুরতে খুব অন্ধকারে ডুব দিয়ে চলে যাই
বৈশাখী বটের মূলে -- যৌবনের জলন্ত জুলীর
দুরন্ত চুলের ঘন মেঘে ঢাকা স্মৃতির ক্যাম্পাসে;
অশরীরী ফুলে ফলে নতুনের গন্ধ খুঁজে নিতে
যেখানে বসন্তে ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের ঘূর্ণিঝড়ে
নীলিমা বিধ্বস্ত হলে ডুকরে কাঁদে চন্দ্রাবতী খুকু,
সুনামির আগ্রাসনে লণ্ডভণ্ড সাজানো সংসার ;
রবীন্দ্র রচনাবলি ধূলোপড়া ভূতুড়ে খোঁয়াড়ে;
ঋতুবতী বালিকার স্বপ্নমালা শূন্যে ঝুলে থাকে,
মানুষে লুকিয়ে হাসে বুনো জন্তু হিংস্র জাগুয়ার ,
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে নির্বিচার বোমার আঘাতে
নিয়ত মানুষ মরে -- নির্বিকার মানব মনীষা
পাথর জড়িয়ে গায়ে মরুদ্বীপে ঘুমিয়ে রয়েছে;
চারিদিকে এ কেমন জীবন বিনাশী বর্বরতা!
লাশের উপরে লাশ পড়ে আছে -- শকুন- শিয়াল
মৃত্যুর উৎসবে এসে লাশ নিয়ে বিবাদে মিলেছে--
বিকলাঙ্গ মানবতা নির্বাসনে গহীন জঙ্গলে
নপুংসক প্রতারক চাটুকার চতুর সুশীল
একই অঙ্গে বহুরূপে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে
জৈবিক নেশার ঘোরে যুদ্ধরত মাতাল বেনিয়া--
এ কেমন গণহত্যা নির্বিচারে ! চোখের পলকে
নিঃশ্বাস নিঃশেষ হয়, দেশে দেশে হায়েনার থাবা
কে পারে থামিয়ে দিতে? কেউ কি আছেন -- কেউ নেই?
আছে আছে, কিন্তু হবেটা কী থাকলে -- ওদের বিবেক
ঘুণপোকা খেয়ে গেছে-- সভ্যতাকে ন্যাংটা করে ওরা
নিজেরা উলঙ্গ হয়ে মাঠে-মঞ্চে অন্ধের মতন
বানরের হাত ধরে নাচে আর বাজায় ডুগডুগি,
আরব্য গাথার রসে উল্টো স্বরে হরেক রকম
আসমানী মাহফিলে কী দারুণ ধ্রুপদী বয়ান!
এ বয়ানে মর্মাহত সমাহিত আলীম-আব্বাস;
ছায়ানটে নট আছে --ছায়া নেই ললিত কলায়;
বাঘের ক্ষুধার কাছে মর্মভেদী হরিণীর ডাক
অরণ্যে রোদন ছাড়া এ মূহুর্তে আর কিছু নয়--
নাগ দেবী মনসার ক্রোধান্বিত অভিশাপ নিয়ে
বেহুলা বাঙালি নারী আনন্দের বাসর ঘরেই
বারবার বৈধব্যের নিদারুণ পোশাক পাল্টায়;
মিথ্যাচারী অমাবস্যা গিলে খায় পূর্ণিমার তিথি
সেখানে কী করে কবি প্রিয় বাংলা নববর্ষ নিয়ে
রবীন্দ্রনাথের মতো কবিতা বা গান না-লিখেই
একা একা পাড়ি দেবে কূলহারা অথই যমুনা!
২)
আমার হবে না লেখা এ বৈশাখে কোনো গান কিংবা
আগুনে তাতানো তাজা একটি কবিতা; তার চেয়ে
বরং এটাই ভালো -- কাউকে না বলেই চুপচাপ
শ্রীকৃষ্ণের মতো ওই মুরলি বাঁশিটা বাজাতে বাজাতে
বঙ্গোপসাগর তীরে শৈশবের চৈত্রের মেলায়
ঘুরতে ঘুরতে খুব অন্ধকারে ডুব দিয়ে চলে যাই
বৈশাখী বটের মূলে -- যৌবনের জলন্ত জুলীর
দুরন্ত চুলের ঘন মেঘে ঢাকা স্মৃতির ক্যাম্পাসে;
অশরীরী ফুলে ফলে নতুনের গন্ধ খুঁজে নিতে
এ আমি এখনো হাঁটি তীর হাতে অন্ধ তীরন্দাজ
কখনো ঘুমের মধ্যে ডানাহীন তোমার বাগানে
প্রেমিক কোকিল কিংবা কারো অন্তরঙ্গ ছায়া হয়ে
উড়ে যাই বেলুনে বাতাস ভরে ফূর্তির আনন্দে ;
সময়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে-- তবু কেন ফুরাচ্ছে না আজ
হাজার বসন্ত প্রেমে মানুষের গুপ্ত ভালোবাসা?
কখনো ঘুমের মধ্যে ডানাহীন তোমার বাগানে
প্রেমিক কোকিল কিংবা কারো অন্তরঙ্গ ছায়া হয়ে
উড়ে যাই বেলুনে বাতাস ভরে ফূর্তির আনন্দে ;
সময়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে-- তবু কেন ফুরাচ্ছে না আজ
হাজার বসন্ত প্রেমে মানুষের গুপ্ত ভালোবাসা?
Tags:
সিরিজ কবিতা