শিশির আজম
শিশির আজম
মহাজাগতিক
বয়স হইছে, তিরি ভাবলেন,
এখন আমার উচিৎ জনপ্রিয় নদীগুলার নাম ভুইলা যাওয়া।
ছোট ছোট জুতা কি কনফিডেন্ট
আর স্মুথ!
এতো বাড়বাড়ন্ত ফি হপ্তায় নখেদের মুখ ছেঁটে দেয়া লাগে
ওদের কি মরণ নাই
আর কৃষকায় কুকুরগুলার গ্রিন রেডিয়েশান?
আমি চাই নিজের ছায়াকে পারোয়ে যেতে।
সমুদ্রের বিশাল গাঢ় নীল, তিনি দেখলেন,
নীল
নীল
নীল
নীলগুলা আকাশ হয়া যাইতেছে,
আকাশ
সেখানে কারো কর্তৃত্বই নেই!
সকাল
শোন দাড়ি কামাতে কামাতে একজন ভালমানুষের সকাল শুরু হয়ে যায় না
কেন না যে লোকটা দাড়ি কামাচ্ছে তার হাতে শার্প একটা ব্লেড ধরা আছে
কী ধরা আছে
ব্লেড
কীরকম ব্লেড
শার্প
এখন তোমরা প্রশ্ন করতে পারো ভালমানুষ কে
আর দাড়ি কামানো বুঝি গুরুত্বপূর্ণ কাজ না
তারপর
ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসা
তারপর
টিভিতে চটপট নিউজ হেডলাইনগুলো দেখে নেওয়া
তারপর
কাজে বেরিয়ে পড়া
হ্যা কাজ
কেন কাজই হেলাফেলার না
কোন সকালই অবজ্ঞা করবার মতো না
এমন কি দাড়িকামানো বিরক্তিকর কোন সকালও না
জেনে রেখো কর্মব্যাস্ত আর মহাগুরুত্বপূর্ণ একটা দিন থেকে
ওকে
ঐ সকালকে
কোনভাবেই তুমি পারবে না ছিঁড়ে ফেলতে
মানুষ একা হতে পারে না
এতো এতো দিন একা থাকার পর
বুঝেছি
মানুষ একা হতে পারে না
একজন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত আর একজন সামরিক শাসকের
ডিনার টেবিলে যাদেরকে পাওয়া যায়নি
সেই মৃতরা
ছেড়ে যাওয়ারা
কাঁটারা
কেউই মানুষকে ছেড়ে দেয় না
এ-সুযোগ মানুষের নেই
হাত
আর দশটা ফুলের মতোই
গোলাপ
একটা ফুল
আর
কোন ফুলের কাছে না গিয়ে
বাগানেই আমার স্বস্তি
যথার্থ ভালোবাসা বলতে যেমনটা বোঝায়
স্বীকার করছি
তেমন ভালোবাসা গোলাপের প্রতি
আমার নেই
হ্যা
যে হাত গোলাপ ধরে রাখে
আমি ভালোবাসি সেই হাত
সারা বিকেল
আমার পাশেই তুমি শুয়ে ছিলে স্বরলিপির খাতা খুলে
সারা বিকেল
আমি দেখছিলাম
কি মিষ্টি তোমার মুখ আর পায়ের পাতার ডাকবাক্স
কিন্তু আমি ভুলেই গেছিলাম এটা একুশ শতাব্দী
আমার খিদে পেয়েছে